রথযাত্রা বিশেষ- আপনার যা কিছু জানা উচিত!

7 minute
Read



Disclaimer This post may contain affiliate links. If you use any of these links to buy something we could earn a commission. We are a reader supported website and we thank you for your patronage.

বিশ্ব দেবতা জগন্নাথ কেবল ওড়িশা বাসির দেবতা নয়। সমগ্র বিশ্ব হিন্দুসমাজের আরাধ্য দেবতা। হিন্দুদের চতুরধাম তীর্থ মধ্য পুরুষতম ধাম অন্যতম। এই ক্ষেত্র পূরাণ প্রসিদ্ধ ও অতি পবিত্র। শ্রীক্ষেত্র,নীলাচল ধাম ও পুরী নামে এহি পবিত্র ভূমি বহু কাল থেকে সুপরিচিত। ওড়িশা রাজ্যর পুরী জিল্লাতে এহি তীর্থ স্থান অবস্থিত। এখানে মহাপ্রভু জগন্নাথ, বড় ভাই বলভদ্র ,দেবী সুভদ্রা ও সুদর্শন চক্র পূজা  পায়। ও বারমাসে তেরপর্ব পালন করা হয়। মাত্র সব পর্ব মধ্যে রথযাত্রা প্রধান ও পৃথিবী প্রসিধ্য। বিশ্ববিখ্যাত রথযাত্রার সৃষ্টি পরম্পরা অতি প্রাচীন। মালবের রাজা ইদ্রদৃম নীলাচলে মন্দির তৈরি করে দেবতা প্রতিষ্টা করতে চাইলেন। তখুন বিশ্বাবাসু পূজিত নিলমাধব রাজাকে স্বপ্নাদেশ করেন। ও পরবর্তিকালে পুরি নিকটবর্তী বাক্কি সমুদ্রতটে দারু রূপে পেএছিলেন। এহী দারুমূর্ত হলো- শ্রী জগন্নাথ, বলভদ্র,সুভদ্রা ও সুদর্শন। 

making of rath

আষাঢ় মাস শুক্ল দ্বিতীয়া তিথিতে শ্রীমন্দির থেকে বাইরে এসে সব দারুমূর্টি রথে বসে সর্বসাধারণ উদ্যসে বড়দণ্ডে যাত্রা করেন। এহী মাহন যাত্রাকে রথযাত্রা বলাহয়। রাজা ইদ্রদৃমের রানি গুন্ডিচা এহি রথযাত্রা শুরু করেছে তাইজ্যানে একে গুণ্ডিচা যাত্রাও বলাযায়। বৌদ্ধধর্মের রথযাত্রা সহ পুরী জগন্নাথ রথযাত্রার সম্য পরিলক্ষিত হয়। 

lord jagannath

রথকে কেন্দ্র করে রথযাত্রা। তিনি ঠাকুররের জ্যানে কাঠের তিনটি রথ প্রস্তুত করাযায়। কাঠ সংগ্রহ শ্রীপঞ্চমী থেকে আরম্ভ হয়। এহি কাঠ সংগ্রহ দাইত্ব ওড়িশা সরকারের। বৈশাখ মাস অক্ষ্যযতৃতীয়া তিথিতে পূজার্চনা করে রথ তৈরী কাজ আরম্ভ হয়।তিনি রথের গঠন সমান হেলেও আকর সমান নয়। শ্রীজগন্নাথর রথটি সর্ববৃহৎ। এহি রথে ৫ হাত পরিধির ১৬ গোটি চকা থাকে। এহি রথের নাম নন্দিঘোস। রথের সারথীর নাম মাতলী। এতে শুক্লবর্ণে র ৪টি ঘোড়া লাগানো থাকে।এতে পিতবস্ত রঙ্গের কাপড়ে আচ্ছাদিত করা হয় থেকে। রথের শিখর প্রদেশে চক্র  বা গরুড় অধিষ্ঠিত ।  বলভদ্ররে রথের নাম তালধ্বজ। এতে সাড়ে ৪ হাত পরিধি বিশিষ্ট ১৪টি চক থাকে। এহী রথের সারথীর নাম সুদ্যম্ন বা তালধ্বাজ ।  এতে কালো রঙ্গের ৪টি ঘোড়া রথের সমুখ্যে লাগানো থাকে । তলধ্বাজ রথে নীললোহিত রঙ্গ । রথের শীর্ষভাগ তাল চিহ্নিত। রথের দ্বারাদেশে পূর্নকুম্ভ ও শস্যগুচ্ছ বলভদ্রর সর্জন শিলতা ও ধন্যধান্যর সূচক। বস্ত্রে আচ্ছাদিত করা হয় থেকে । দেবী সুভদ্রা রথের নাম দর্পদলন বা দেবদলন । একে দেবিরথ মধ্য বলাযায়। ৪ হাত পরিধির চারটি চক লাগানো থাকে। এহি রথের সারথীর নাম অর্জুন। চারোগোট ঘোড়া এহি রথে সংযুক্ত করাযায়। এহি তিনি রথের উচাতা যথাক্রমে - ২৩ হাত,২২হাত,ও ২০হাত। প্রতি রথে রখ্যক, দ্বররখ্যক ও পার্শ্বদেবতাগন রহেছে।  রথগুলো বিভিন্ন রঙ্গের পুষ্পতে সুসজিত করাযায়।

rath yatra

রথগুলো শীর্ষে পাতকা শোভা পায়। এহিদিন সুদর্শন সহ তিনিঠাকুর নীলগিরি কন্দর ছেড়ে ৯ দিন পর্যন্ত যাত্রা করেন। রথ যাত্রা তিন ভাগে বিভক্ত। যথা - পূর্বজাত্রা, গুন্দিচা মন্দিরে অবস্তান, ও শেষে বাহুডাযাত্রা। রথযাত্রার দিন রথ তিনটিকে শ্রীমন্দির সিংহদ্বার সমু খ্য রাখাযায়। এহিদিন সেবকদের দ্বারা বিশেষ রীতি নীতিতে শ্রীমন্দির থেকে চাতুর্থামূর্তি কে রথের উপরে বিরাজমান করাযায়। এহি নীতি কে পহন্ডিবিজে বলাযায়। পাহন্ডিবিজে অতীব দর্শনীয়। প্রথমে ভগবান সুদর্শন আসে দেবী সুভদ্রা রথে অবস্তান করেন। মন্দিরে সাতটি পাহাচা সুদর্শন পারহবার পারে বলভদ্ররে মূর্তিকে রথের উপরে নিয়াআশা হয়। এই ভাবে দেবী সুভদ্রা ও পারে অর্থাৎ শেষে প্রভু জগন্নাথকে পাহন্ডি বীজে করাযায় ।  তিনি ঠাকুরের রথারোহান পারে  অনেক পরিমাণে জনসমাগম পরিলক্ষিত হয়। ও ঘন্ট , কাহালী , মৃদঙ্গ,হরিবোলতে পরিবেস পুলকিতা হুএ উঠে।  এরপরে রথে ছেরাপহরা কার্য্য আরম্ভ হয়। জগন্নাথের প্রথম সেবক পুরি রাজা গজপতি সুনাখড়কতে রথের উপরে ছেরাপহরা করেন। এহি দৃশ্য খুবই মনোরম।

puri rath yatra

এহি কার্য্য শেষে রথটনা কার্য্য আরম্ভ হয়। শক্ত ও লম্বা রশিতে তিনিরথকে খুব ভালো করে বান্ধাহয। অগণিত নরনারী নির্দেশ পাবার পারে রথাটানা আরম্ভ করে। ক্রমানুসারে - প্রথমে বলভদ্র,দেবী সুভদ্রা,ও শেষে জগন্নাথদের রথ টনা যায়।লোকে বিশ্বাস করেকি - রথ বা রথের রাশি স্পর্শ করলে কোটি জনমের পাপ নাশ হয়। ও অনেক পূণ্য মিলে। মাসিমা মন্দিরে র নিকটে জগন্নাথর রথ কিছু সময় পর্যন্ত থাকে কারণ এই খানে পোড়পিঠা ভোগ লাগে। এরপরে বলগণ্ডি বা সরধাবালি নিকটে জগন্নাথ রে রথ অপেক্ষা করে। রাজা বলী প্রভু জগন্নাথকে দর্শন করার জনশ্মুতি আছে। রথ গুলো সন্ধ্যা আগে গুড়িচা মন্দির নিকটে পৌঁছেযায়। ও তারপর দিন পহডি করে মন্দিরে বীজে করেন। সাত দিন সেখানে প্রভু পূজা পায় নবমী দিন রথে বসে সিংহদ্বার আবার ফিরে আসেন। এহি দিনকে বাহুডাযাত্রা বলাযায়। ও একাদশী দিন রথের উপরে তিন ঠাকুরের সুনাবেস হয়।তারপর দিন প্রভু আবার রত্নসিংঘাসনে ফিরে আসেন। পৃথিবী প্রসিধ্য রথযাত্রা দেখতে ওড়িশা ও ওড়িশা বাইরের বহু ভক্ত পুরীতে  আসেন। বিপুল জনসমাগম কে নিয়ত্রন ও শান্তিরক্ষা করার জন্য ওড়িশা সরকার পুলিসবাহীন নিযুক্ত করেন। এছাড়া মুন্সিপালটি পানিয়জলের সুবিধা করেন। আহত,মূর্ছিত,ও রগাক্লাত ব্যক্তিদের জ্যনে,নিরুধিস্ট ব্যক্তির সন্ধান ইত্যাদি জন্য ওড়িশা সরকার সব সময় সজাগ থাকতে।                          

sunabhesa

হিন্দুদের গর্ব ও গৌরবের দেবতা জগন্নাথের রথযাত্রার আদর্শ ও মহত্ব আকাশের মতো অনন্ত ও সাগরে মতো গভীর । বিস্বকাল্যানের জন্য জগন্নাথ দারুদেহে শ্রী ক্ষেত্র বীজে করেন। এহি যাত্রা থেকে আমরা বুঝতে পারি - ব্যক্তি যতো বডো হোলেও ভগবান কাছে তারা সেবক ও দাস   






Logged in user's profile picture




রথযাত্রার ইতিহাস কি?
বিশ্ব দেবতা জগন্নাথ কেবল ওড়িশা বাসির দেবতা নয়। সমগ্র বিশ্ব হিন্দুসমাজের আরাধ্য দেবতা। হিন্দুদের চতুরধাম তীর্থ মধ্য পুরুষতম ধাম অন্যতম। এই ক্ষেত্র পূরাণ প্রসিদ্ধ ও অতি পবিত্র। শ্রীক্ষেত্র,নীলাচল ধাম ও পুরী নামে এহি পবিত্র ভূমি বহু কাল থেকে সুপরিচিত। ওড়িশা রাজ্যর পুরী জিল্লাতে এহি তীর্থ স্থান অবস্থিত। এখানে মহাপ্রভু জগন্নাথ, বড় ভাই বলভদ্র ,দেবী সুভদ্রা ও সুদর্শন চক্র পূজা  পায়। ও বারমাসে তেরপর্ব পালন করা হয়। মাত্র সব পর্ব মধ্যে রথযাত্রা প্রধান ও পৃথিবী প্রসিধ্য। বিশ্ববিখ্যাত রথযাত্রার সৃষ্টি পরম্পরা অতি প্রাচীন। মালবের রাজা ইদ্রদৃম নীলাচলে মন্দির তৈরি করে দেবতা প্রতিষ্টা করতে চাইলেন। তখুন বিশ্বাবাসু পূজিত নিলমাধব রাজাকে স্বপ্নাদেশ করেন। ও পরবর্তিকালে পুরি নিকটবর্তী বাক্কি সমুদ্রতটে দারু রূপে পেএছিলেন। এহী দারুমূর্ত হলো- শ্রী জগন্নাথ, বলভদ্র,সুভদ্রা ও সুদর্শন।
যখন এটি উদযাপন করা হবে?
আষাঢ় মাস শুক্ল দ্বিতীয়া তিথিতে শ্রীমন্দির থেকে বাইরে এসে সব দারুমূর্টি রথে বসে সর্বসাধারণ উদ্যসে বড়দণ্ডে যাত্রা করেন। এহী মাহন যাত্রাকে রথযাত্রা বলাহয়। রাজা ইদ্রদৃমের রানি গুন্ডিচা এহি রথযাত্রা শুরু করেছে তাইজ্যানে একে গুণ্ডিচা যাত্রাও বলাযায়। বৌদ্ধধর্মের রথযাত্রা সহ পুরী জগন্নাথ রথযাত্রার সম্য পরিলক্ষিত হয়।
রথযাত্রা কি চিত্রিত করে?
হিন্দুদের গর্ব ও গৌরবের দেবতা জগন্নাথের রথযাত্রার আদর্শ ও মহত্ব আকাশের মতো অনন্ত ও সাগরে মতো গভীর । বিস্বকাল্যানের জন্য জগন্নাথ দারুদেহে শ্রী ক্ষেত্র বীজে করেন। এহি যাত্রা থেকে আমরা বুঝতে পারি - ব্যক্তি যতো বডো হোলেও ভগবান কাছে তারা সেবক ও দাস |